Rebel Without a Crew — Robert Rodriguez

Robert Rodriguez

রবার্ট রদ্রিগেজ বইটি শুরুতেই জানিয়ে দেন যে এটি কোনো প্রচলিত আত্মজীবনী নয়।

এটি মূলত একটি ডায়েরি, যা তিনি প্রতিদিন লিখেছেন তাঁর প্রথম ফিচার ফিল্ম El Mariachi বানানোর সময়।

বইটির উদ্দেশ্য অন্য তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের অনুপ্রেরণা দেওয়া।

তিনি বলেন, যে কেউ যদি সত্যিই চলচ্চিত্র বানাতে চায়, তবে বড় বাজেটের দরকার নেই।

তিনি নিজেকে “দল ছাড়া বিদ্রোহী” হিসেবে ব্যাখ্যা করেন কারণ তাঁর কোনো পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র-দল ছিল না।

তিনি ন্যূনতম বাজেটে সিনেমা বানানোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

ভূমিকা অংশে তাঁর ল্যাবরেটরিতে “মানব পরীক্ষার ইঁদুর” হওয়ার অভিজ্ঞতার উল্লেখ আছে।

ওই মেডিকেল রিসার্চ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েই তিনি নিজের ফিল্মের টাকা জোগাড় করেন।

তিনি চলচ্চিত্রশিল্পকে ধরা-ছোঁয়ার বাইরের কিছু নয়, বরং শেখার মতো একটি প্রক্রিয়া মনে করেন।

তাঁর মতে, চলচ্চিত্র বানানো মানে হচ্ছে নিজেকে প্রমাণ করা, সিস্টেমকে ভাঙা।

ভূমিকা অংশে তিনি উল্লেখ করেন যে মেক্সিকোতে শ্যুটিং করাটা একেবারেই কম খরচে সম্ভব হয়েছিল।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, সীমাবদ্ধতাই তাঁর সৃজনশীলতার সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল।

রদ্রিগেজ স্বীকার করেন যে অনেক সময় ভয় ও অনিশ্চয়তা তাঁকে ঘিরে ধরেছিল।

কিন্তু প্রতিবারই তিনি সমস্যাকে সুযোগে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করেছেন।

তিনি “যদি বাজেট না থাকে, তবে মস্তিষ্কই আসল বাজেট” — এই দর্শন মেনে চলেন।

বইটি শুধু গল্প বলার জন্য নয়, বরং ব্যবহারিক শিক্ষা দেওয়ার জন্যও লেখা হয়েছে।

তিনি বিশ্বাস করতেন, স্বাধীন সিনেমা তরুণ নির্মাতাদের জন্য মুক্তির পথ।

তিনি পাঠককে শুরু থেকেই একধরনের ব্যক্তিগত যাত্রায় অংশ নিতে ডাক দেন।

ভূমিকা অংশে তিনি জানান, ফিল্ম স্কুলে না গিয়েও সিনেমা বানানো সম্ভব।

তাঁর নিজের ফিল্ম স্কুল ছিল কেবল একটি ক্যামেরা ও ডায়েরি।

তিনি বলেন, El Mariachi বানানোর অভিজ্ঞতা তাঁকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে।

ভূমিকা অংশে তিনি ভবিষ্যৎ পাঠকদের সরাসরি সম্বোধন করেন।

তিনি জোর দেন যে “আপনি যদি সত্যিই চান, তবে একাই সব করতে পারবেন।”

তিনি বড় স্টুডিও সিস্টেমের ওপর নির্ভর না করার গুরুত্ব বোঝান।

চলচ্চিত্র বানানো তাঁর জন্য স্বপ্ন নয়, বরং বেঁচে থাকার প্রয়োজন।

তিনি লেখেন যে তাঁর যাত্রা মূলত প্রমাণের — impossible is nothing.

ভূমিকা অংশে তিনি একাধিকবার “কোনো অজুহাত নয়” নীতি ব্যাখ্যা করেন।

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, কম বাজেট মানেই খারাপ সিনেমা নয়।

তাঁর মতে, সীমাবদ্ধতা থাকলেই সৃজনশীলতা জন্ম নেয়।

তিনি নিজেকে একজন গল্পকার হিসেবে তুলে ধরেন, টেকনিক্যাল মাস্টার নয়।

ভূমিকা অংশে তিনি উল্লেখ করেন কিভাবে ডায়েরি লেখার মাধ্যমে সবকিছু নথিভুক্ত করেছেন।

পাঠককে অনুপ্রাণিত করতে তিনি নিজের ব্যর্থতাও লুকাননি।

তিনি বলেন, ব্যর্থতাই তাঁকে সঠিক সমাধান খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে।

তাঁর মতে, তরুণ পরিচালককে সবকিছু নিজে শিখে নিতে হবে।

তিনি বাজেট, লোকেশন, কাস্টিং—সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দেন।

ভূমিকা অংশে তিনি পাঠককে প্রতিশ্রুতি দেন যে তারা এই যাত্রায় একরকম সহযাত্রী হবে।

তিনি সিনেমাকে শুধু আর্ট নয়, যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে দেখেন।

তাঁর মতে, একজন চলচ্চিত্রকারকে হতে হবে সৈনিকের মতো লড়াকু।

তিনি বলেন, স্বাধীন সিনেমা মানে হলো স্বাধীনতা রক্ষার লড়াই।

তিনি খোলাখুলি বলেন, “আপনি যতটুকু হাতে পাবেন, তাতেই শুরু করুন।”

ভূমিকা অংশে তিনি ভবিষ্যৎ তরুণ চলচ্চিত্রকারদের জন্য এক ধরনের ম্যানিফেস্টো উপস্থাপন করেন।

তিনি দর্শকদের সাথে সম্পর্ক গড়ার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন।

তাঁর মতে, সৃষ্টিশীলতা তখনই মূল্যবান যখন তা দর্শকের কাছে পৌঁছায়।

তিনি আশ্বাস দেন যে তাঁর অভিজ্ঞতা অন্যদের জন্য পথনির্দেশক হবে।

ভূমিকা অংশে তিনি লেখেন, “আমি যখন শুরু করেছিলাম, আমার কাছে কিছুই ছিল না।”

তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন যে ইচ্ছাশক্তিই আসল পুঁজি।

তিনি নিজেকে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করেন যেন অন্যরা সাহস পায়।

তাঁর উদ্দেশ্য শুধুমাত্র আত্মগৌরব নয়, বরং নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করা।

ভূমিকা অংশ শেষ হয় ভবিষ্যৎ যাত্রার জন্য প্রস্তুতির আহ্বান দিয়ে।

তিনি বলেন, “এই বই পড়লে আপনার মনে হবে, আপনিও পারবেন।”

    Leave a Comment

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    Scroll to Top