জেমস ওটিস জুনিয়র: আমেরিকার স্বাধীনতা-চেতনায় এক অগ্নিময়ন প্রবর্তক

James Otis Jr.

আমেরিকার স্বাধীনতার ইতিহাস যখনই উন্মোচিত হয়, তখনই বিপ্লবের উষালগ্নে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু অগ্রগামী মনের কথা মনে পড়ে—যারা অস্ত্র তুলে নেননি, কিন্তু তাদের তত্ত্ব, যুক্তি, এবং শব্দ ছিল একেকটি মানসিক ব্রহ্মাস্ত্র। এই নামগুলোর মধ্যে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন জেমস ওটিস জুনিয়র (১৭২৫–১৭৮৩)। তিনি ছিলেন একজন আইনজ্ঞ, রাজনৈতিক চিন্তাবিদ, বাগ্মী এবং মানসিক স্বাধীনতার জাগরণদাতা—একজন ব্যক্তি যার বক্তব্যকে জন অ্যাডামস ‘‘স্বাধীনতার প্রথম স্ফুলিঙ্গ’’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।

তার জীবন গল্পের ভিতরে আছে বুদ্ধিমত্তার শিখা, অভিমন্যুর মতো বিপদসংকুল পথচলা, মানসিক সংগ্রাম, রাজনৈতিক উত্তেজনা, এবং এক ট্র্যাজেডির ছায়া। ওটিসকে না জানলে আমেরিকান বিপ্লবের বৌদ্ধিক ভিত্তি বোঝা অসম্ভব। তাই আসুন, এই অগ্নিগর্ভ চিন্তার কারিগরকে গভীরভাবে অন্বেষণ করি।

শৈশব ও যৌবন: এক প্রতিভার প্রস্তুতিপর্ব

জেমস ওটিস জুনিয়র জন্মগ্রহণ করেন ৫ ফেব্রুয়ারি ১৭২৫ সালে, ম্যাসাচুসেটস-এর বার্নস্ট্যাবল অঞ্চলে। তার পরিবার ছিল নিউ ইংল্যান্ডের শিক্ষিত ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী পরিবারগুলোর একটি। পিতা জেমস ওটিস সিনিয়র ছিলেন একজন বিচারক ও আইনপ্রণেতা; মা ম্যারি অ্যালি ছিলেন দৃঢ়চেতা, ধর্মভীরু ও শিক্ষিত নারী।

শৈশব থেকেই ওটিসের মানসিক গঠন ছিল অস্বাভাবিক তীক্ষ্ণ। বই ছিল তার প্রথম বন্ধুবর ও প্রথম যুদ্ধক্ষেত্র—যেখানে তিনি মনঃসংযোগের তলোয়ার ধার দিতেন। ১২ বছর বয়সে তিনি ল্যাটিন ও গ্রিকের দখল পেয়ে যান; ১৬ বছর বয়সে ভর্তি হন হার্ভার্ড কলেজে। হার্ভার্ডের সেই দিনগুলো তাকে শুধু শিক্ষিত করেনি; তাকে প্রস্তুত করেছিল ভবিষ্যতের সেই বাগ্মী যোদ্ধা হিসেবে।

১৭৪৩ সালে তিনি হার্ভার্ড থেকে স্নাতক হয়ে আইন পেশার দিকে ঝুঁকে পড়েন। আইন তার কাছে ছিল শুধু পেশা নয়—এ এক ন্যায়ের বিজ্ঞান, স্বাধীনতার রসায়ন, সামাজিক জটিলতা ভেদ করার বুদ্ধিবৃত্তিক অস্ত্র।

আইনজীবী হিসেবে উত্থান: যুক্তির রণকৌশল

ম্যাসাচুসেটসে আইনচর্চা শুরু করে দ্রুতই সুনাম কুড়িয়ে ফেলেন ওটিস। তার যুক্তির ধার ছিল ধারালো, উপস্থাপন ছিল আগ্নেয়গিরির মতো উদ্দীপ্ত। আদালতে তিনি যেন বুদ্ধির বজ্রনাদ, আর তার বক্তৃতা যেন শ্রোতার আবেগকে আলোড়িত করা ঝড়।

তিনি রাজনৈতিক চিন্তায় প্রভাবিত ছিলেন বিশেষ করে মন্টেস্কিয়ুর ‘স্পিরিট অব দ্য লজ’ ও লকীয় স্বাধীনতার দর্শনে। ওটিস বিশ্বাস করতেন—

রাজ্যের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত।

আইনের চোখে প্রজা কখনোই দাস নয়; তাদের মৌলিক অধিকার অখণ্ড।

সম্রাট বা সংসদ কোনো ক্ষেত্রেই মানুষের স্বর্গীয় অধিকার লঙ্ঘন করতে পারে না।

এই বিশ্বাসই তাকে নিয়ে গেল সেই লড়াইয়ের কেন্দ্রে যা আমেরিকার স্বাধীনতার প্রাককাহিনি রচনা করেছিল।

Writs of Assistance: স্বাধীনতার প্রথম বজ্রপাত

১৭৬১ সাল—এই বছরটি জেমস ওটিসের জীবনই শুধু বদলে দেয়নি, বরং আমেরিকান ইতিহাসের গতিপথও পরিবর্তন করেছিল। ব্রিটিশ সরকার ব্যবসায়ীদের ঘরে ঘরে তল্লাশি চালানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য যে নথি বা আদেশ চালু করেছিল সেটি ছিল Writs of Assistance। এর মাধ্যমে ব্রিটিশ কাস্টমস অফিসাররা বিনা অনুমতিতে ঘরে প্রবেশ করতে পারত, সন্দেহভাজন যে কারও পণ্য বাজেয়াপ্ত করতে পারত।

এ ছিল স্বাধীনতার অস্থায়ী মৃত্যু-ঘণ্টা, ব্যক্তিস্বাধীনতার পরিপূর্ণ লঙ্ঘন।

ওটিস ছিলেন একজন সরকারি আইনজীবী, কিন্তু তিনি নিজেই এই আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সাবমিট করেন তার পদত্যাগপত্র। এরপর আদালতে তিনি পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী যে বক্তৃতা দিলেন—তা আমেরিকার বৌদ্ধিক-রাজনৈতিক ইতিহাসে অমর হয়ে রয়েছে।

তার বক্তৃতার মূল বক্তব্য ছিল—

‘‘মানবজাতির প্রাকৃতিক অধিকার ঈশ্বরপ্রদত্ত; কোনো রাজা, কোনো সংসদ তা কেড়ে নিতে পারে না।’’

‘‘যে আইন অত্যাচারকে ন্যায় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে, সেই আইন বাতিলের যোগ্য।’’

‘‘একজন মানুষের ঘর তার নিজস্ব দুর্গ—ইংল্যান্ড হোক বা উপনিবেশ।’’

জন অ্যাডামস পরে বলেছিলেন—
‘‘এই দিনটিই ছিল আমেরিকার স্বাধীনতার প্রকৃত জন্মদিন।’’

ওটিসের রাজনৈতিক দর্শন: স্বাধীনতার দ্রষ্টা

জেমস ওটিসের চিন্তায় ছিল এক অদ্ভুত ‘আগাম–দৃষ্টি’। ব্রিটিশ রাজনীতি তখনো বিপ্লবের ঝড়ে কাঁপেনি, উপনিবেশগুলো তখনো অস্ত্র হাতে ওঠেনি। কিন্তু ওটিস বুঝেছিলেন—অত্যাচার যখন আইনকে গ্রাস করে, তখন মানুষের হৃদয়ে বিদ্রোহ জন্ম নেয়।

তার রাজনৈতিক দর্শনের প্রধান কয়েকটি উপাদান —

১) প্রাকৃতিক অধিকার তত্ত্ব

প্রত্যেক মানুষের জন্মগত অধিকার আছে—জীবন, স্বাধীনতা, সম্পত্তি। এগুলো কোনো সরকার প্রদত্ত নয়; এগুলো মানুষের অস্তিত্বের অংশ।

২) শাসকের বৈধতা আসে জনগণের সম্মতি থেকে

ওটিস বলেছিলেন—রাজা বা সংসদ জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে ক্ষমতাসীন। যদি সেই ক্ষমতা অপব্যবহার হয়, জনগণ প্রতিরোধ করার অধিকার রাখে।

৩) কর আরোপের নৈতিকতা

তিনি ছিলেন ‘‘No taxation without representation’’—এই বিখ্যাত তত্ত্বের প্রথম দার্শনিকদের একজন। তার বক্তব্যঃ
**‘‘যে সংসদে আমাদের প্রতিনিধিত্ব নেই, সেই সংসদের কর আরোপ অনৈতিক।’’

৪) সম্রাজ্যবাদী শাসনের সীমা

ওটিস প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন—ব্রিটিশ আইনশাসন উপনিবেশে প্রয়োগ করতে চাইলে উপনিবেশবাসীর মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ অপরিহার্য।

সাহিত্যিক ও বৌদ্ধিক কর্মযজ্ঞ

ওটিস শুধু বক্তা নন, ছিলেন একজন তীক্ষ্ণ লেখকও। তার রাজনৈতিক পুস্তিকা ও প্রবন্ধগুলো উপনিবেশজুড়ে স্বাধীনতার আগুন ছড়িয়েছিল।

তার উল্লেখযোগ্য কিছু রচনা—

“The Rights of the British Colonies Asserted and Proved” (১৭৬৪)
এটি আমেরিকার স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম দার্শনিক দলিলগুলোর একটি। এতে তিনি প্রমাণ করেছিলেন—উপনিবেশবাসীর অধিকার ব্রিটিশ নাগরিকের সমান।

“Considerations on Behalf of the Colonists”
এখানে তিনি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী নীতির সীমাবদ্ধতা নিয়ে লেখেন।

বক্তৃতা
তার বক্তৃতার ধারা ছিল এমন যে—শ্রোতারা যেন চিন্তার ঢেউয়ে ভাসতে ভাসতে স্বাধীনতার তীরে এসে দাঁড়াতেন।

রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ব্যক্তিগত বিপর্যয়
উত্তেজনার জলোচ্ছ্বাস

১৭৬০ থেকে ১৭৭০ দশক—এ সময় আমেরিকান উপনিবেশে প্রতিবাদের আগুন জ্বলছিল। ওটিস ছিলেন সেই আগুনের বৌদ্ধিক জ্বালানি। তিনি Stamp Act, Sugar Act, এবং Townshend Acts-এর কঠোর সমালোচনা করেন।

১৭৬৯ সালের মর্মান্তিক ঘটনা

একটি ট্যাভার্নে ব্রিটিশ অনুগত কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিতর্কের সময় তাকে আক্রমণ করা হয়। তার মাথায় ভয়াবহ আঘাত লাগে। এই আঘাত তার জীবনের গতিপথই বদলে দেয়। তার মনে অস্থিরতা, অবসাদ, এবং মানসিক বিপর্যয়ের ছায়া ঘন হতে থাকে।

তার বোন মারসি ওটিস ওয়ারেন—নিজেই একজন প্রভাবশালী লেখিকা—লিখেছিলেন যে ওটিসের মস্তিষ্ক যেন ‘‘অগ্নিদগ্ধ গ্রন্থাগার’’—জ্ঞান আছে, কিন্তু তার দরজাগুলো মাঝে মাঝে খুলে না।

তবুও মাঝেমধ্যে তার চিন্তার পুরনো বজ্রধ্বনি ফিরে আসত—যেন পুরনো অগ্নিপুরুষ আবার জেগে উঠছেন।

ওটিস বনাম ব্রিটিশ শাসন: বুদ্ধির যুদ্ধক্ষেত্র

ওটিস ছিলেন না জর্জ ওয়াশিংটনের মতো সেনানায়ক, কিংবা স্যামুয়েল অ্যাডামসের মতো রাজনৈতিক সংগঠক। তিনি ছিলেন স্বাধীনতার দার্শনিক সেনাপতি—একজন যোদ্ধা যার তলোয়ার ছিল যুক্তি, এবং যুদ্ধে তার রক্তপাত ছিল শব্দে, চিন্তায়।

১) বিচারালয়ের বিপ্লব

বিপ্লব প্রথম জন্ম নিয়েছিল আদালতে—ওটিসের সেই আগ্নেয় বক্তৃতার মাধ্যমে।

২) উপনিবেশগুলোর একতা বৃদ্ধি

তার যুক্তিগুলো ম্যাসাচুসেটস থেকে শুরু করে পেনসিলভানিয়া, ভার্জিনিয়া—সর্বত্র আলোড়ন তোলে।

৩) যুবকদের প্রভাবিত করা

অনেক তরুণ দেশপ্রেমিক—বিশেষ করে জন অ্যাডামস—ওটিসের বক্তৃতা শুনে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।

জন অ্যাডামস লিখেছিলেন—
‘‘ওটিসের যুক্তি আমাকে স্বাধীনতার পথে ঠেলে দিয়েছিল।’’

এক অনন্য স্বভাব: বুদ্ধির দীপ্তি ও মানসিক ঝড়

জেমস ওটিস ছিলেন অত্যন্ত সংবেদনশীল ও উগ্র-উদ্দীপনা-সম্পন্ন ব্যক্তি। তার মন ছিল যেন এক অস্থির তারকা—এক সময় তীব্র আলোকিত, আবার কখনো অন্ধকারাচ্ছন্ন।

একদিকে তিনি শান্ত যুক্তির বাগান রোপণ করতেন,

অন্যদিকে আবেগের ঝড় তাকে গ্রাস করত।

মানুষ তাকে ভালোবাসত, আবার তার আকস্মিক রাগ বা শোকের মুহূর্তে বিভ্রান্ত হত। তিনি ছিলেন বিরল প্রতিভা—শক্তিশালী, কিন্তু ভঙ্গুরও।

জীবনের শেষ অধ্যায়

বিপ্লব যখন ১৭৭৬ সালের দিকে জোরালো হয়ে ওঠে, তখন ওটিসের মানসিক অসুস্থতা তাকে সক্রিয় ভূমিকা থেকে বিরত রাখছিল। তিনি রাজনৈতিক ক্ষেত্র থেকে ধীরে ধীরে সরে যান। মাঝে মাঝে লেখালিখি করতেন, মানুষের সঙ্গে আলাপ করতেন, কিন্তু আগের মতো আগ্নেয় উদ্দীপনা আর দেখা যেত না।

১৭৮৩ সালের ২৩ মে, একটি বজ্রঝড়ের সময় তিনি মেইন অঞ্চলে তার বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত নেমে আসে—আর সেই বজ্রচ্ছটায় শেষ হয়ে যায় তার জীবন। আশ্চর্যজনকভাবে, তিনি নাকি বহুবার বলেছিলেন—
**‘‘আমি চাই, মৃত্যুর দিন আমার শরীরে বজ্র স্পর্শ করুক।’’

এ যেন ইতিহাসের অদ্ভুত রসিকতা—স্বাধীনতার প্রথম বজ্রধ্বনি একদিন সত্যিই তাকে নিজের কাছে টেনে নিল।

ইতিহাসে ওটিসের স্থান: স্বাধীনতার আগাম-ঝংকার

জেমস ওটিস জুনিয়রের মূল্য বুঝতে গেলে আমাদের বুঝতে হবে—তিনি কি না করলে আমেরিকান স্বাধীনতা আন্দোলন কীভাবে আকার নিত?

তিনি না হলে ‘‘ব্যক্তিস্বাধীনতা’’ ও ‘‘প্রাকৃতিক অধিকার’’—এই তত্ত্বগুলো এত তাড়াতাড়ি রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে আসত না।

কর আরোপ নিয়ে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে যেসব আন্দোলন তৈরি হয়েছিল, তার বৌদ্ধিক ভিত্তি ওটিসই তৈরি করে দিয়েছিলেন।

তার যুক্তি ছিল সেনাদের বারুদের মতো, আর তার রচনা ছিল আগুন ধরানোর দেশলাই।

তিনি প্রথম দেখিয়েছিলেন—অত্যাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানে শুধু যুদ্ধ নয়; এর পিছনে থাকতে হয় বুদ্ধির ইস্পাত কাঠামো।

জন অ্যাডামস শেষ পর্যন্ত বলেছিলেন—
‘‘ওটিস স্বাধীনতার পথে আলো জ্বালিয়ে দিলেন; আমরা শুধু সেই পথ ধরে হাঁটলাম।’’

চিন্তার আকাশে এক বিদ্যুৎচ্ছটা

জেমস ওটিস জুনিয়র যেন ইতিহাসের আকাশে এক আকস্মিক উল্কাপিণ্ড—উজ্জ্বল, অগ্নিময়, কিন্তু অল্পকালীন। তার দেহ ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল, মন ভেঙে পড়েছিল, তবুও স্বাধীনতার প্রতি তার অঙ্গীকার কখনোই ভাঙেনি।

তিনি ছিলেন—

যুক্তিবিদদের মধ্যে সেনাপতি,

স্বাধীনতার প্রথম বাগ্মী অগ্রদূত,

উপনিবেশবাসীর অধিকারের প্রথম সমর্থক,

আর এক মানবমনের বেদনাময়, গভীর গল্প।

তার জীবন একদিকে বুদ্ধির দীপ্তি, অন্যদিকে ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডির করুণ ছায়া—যেন ইতিহাসের বুকে লেখা এক অগ্নিলিপি, যার প্রতিটি অক্ষর আজও স্বাধীনতা-চেতনার আকাশে ঝলসে ওঠে।

আজ আমেরিকার স্বাধীনতার গল্প যতবার বলা হয়, ওটিসের নাম ততবার ফিরে আসে—যেন প্রত্যেক প্রজন্মের মনে মনে ফিসফিস করে বলে,
‘‘স্বাধীনতা কোনো যুদ্ধের ধারালো ফল নয়; এটি শুরু হয় মানুষের চিন্তায়, মানুষের সাহসে, মানুষের ন্যায়বোধে।’’

জেমস ওটিস জুনিয়র সেই চিন্তারই প্রথম আলো।
তার নাম তাই ইতিহাসের পাতায় নয়—স্বাধীন মানুষের হৃদয়ে লেখা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top