ডজুনা বার্নস একজন আমেরিকান আধুনিকতাবাদী লেখিকা, যার সাহসী ও পরীক্ষামূলক লেখনশৈলী তাকে খ্যাতি এনে দেয়। ১৮৯২ সালে জন্ম, তিনি নিউইয়র্ক ও প্যারিসে বোহেমিয়ান জীবন কাটান। তাঁর উপন্যাস Nightwood তাকে সাহিত্যজগতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান দেয়। পরিচয়, লিঙ্গ ও শিল্প নিয়ে তাঁর কাজ আজও প্রভাবশালী।

ডজুনা বার্নস আধুনিকতাবাদী সাহিত্যের অন্যতম শক্তিশালী নারী কণ্ঠ হিসেবে পরিচিত।

তিনি ছোটবেলা থেকেই চিত্রাঙ্কন, কবিতা ও সাংবাদিকতায় প্রতিভা দেখান।

মাত্র ২০ বছর বয়সে বার্নস বিখ্যাত ম্যাগাজিনগুলোর জন্য সাক্ষাৎকার ও প্রতিবেদন লিখতেন।

তিনি New York World–এ কাজ করার সময় বহু নারী অধিকার ইস্যু তুলে ধরেন।

বার্নস আমেরিকান “বোহেমিয়ান জীবনধারা”-এর অন্যতম প্রতীক ছিলেন।

১৯২০-এর দশকে তিনি প্যারিসের শিল্পী ও লেখকদের সাথে মিশে "লস্ট জেনারেশন"–এর অংশ হয়ে ওঠেন।

তার বিখ্যাত উপন্যাস Nightwood প্রথমদিকের লেসবিয়ান সাহিত্যের একটি মাইলস্টোন।

Nightwood–এর জন্য টি. এস. এলিয়ট নিজে ভূমিকাও লিখেছিলেন।

বার্নসের লেখায় কবিত্বময় ছন্দ, রহস্যময়তা ও মানসিক গভীরতার মিশ্রণ দেখা যায়।

তিনি সাংবাদিক হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসাইনমেন্টেও কাজ করেছেন, যেমন স্টান্ট লেখা ও মানব অভিজ্ঞতা নিয়ে পরীক্ষা।

বার্নস বহু সময় নিজেকে সমাজ থেকে আড়াল করে নিঃসঙ্গ জীবন কাটিয়েছেন।

তার ব্যক্তিগত জীবন ছিল অত্যন্ত জটিল ও আবেগঘন, যা তার লেখাতেও প্রতিফলিত হয়েছে।

তিনি প্রায়ই নিজের পরিবার নিয়ে সমালোচনামূলক দৃষ্টিকোণ থেকে লিখেছেন।

বার্নস একজন দক্ষ নাট্যকারও ছিলেন; তার একাধিক নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে।

তিনি কবিতা, উপন্যাস, নাটক, চিত্রকলা—সব ক্ষেত্রেই স্বতন্ত্র শৈলী গড়ে তুলেছিলেন।

তার কাজ একসময় সাধারণ পাঠকের জন্য “অতি জটিল” বলে বিবেচিত হত।

জীবনের শেষ প্রায় ৪০ বছর তিনি নিউইয়র্কের এক অ্যাপার্টমেন্টে একাকী কাটান।

তিনি খুব কম সাক্ষাৎকার দিতেন এবং জনসমক্ষে হাজির হতে পছন্দ করতেন না।

বার্নস তার শৈল্পিক স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রকাশক ও সমালোচকদের চাপ প্রতিরোধ করেছিলেন।

আজ তিনি কুইয়ার সাহিত্য, নারীবাদী লেখালেখি এবং আধুনিকতাবাদী রচনার একটি অগ্রগণ্য নাম হিসেবে স্বীকৃত।

ডজুনা বার্নস-এর-উক্তি

“ভালোবাসা এমন এক আগুন, যা নেভাতে গেলে আরও জ্বলে ওঠে।”

“আমরা সবাই মুখোশ পরে বেঁচে থাকি; সত্যিকারের মুখটি খুব কমই কেউ দেখে।”

ডজুনা বার্নস-এর-উক্তি

“নিঃসঙ্গতা কখনও কখনও মানুষের সবচেয়ে গভীর শিক্ষক।”

স্মৃতি হলো এমন এক ছায়া, যা সময়কে কখনও পুরোপুরি যেতে দেয় না।”

ডজুনা বার্নস-এর-উক্তি

“মানুষের হৃদয় যা বোঝে, শব্দ প্রায়শই তা প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়।”

“ভালোবাসার বিচ্ছেদ বেদনাদায়ক, কিন্তু ভান করা ভালোবাসা আরও নির্মম।”

ডজুনা বার্নস-এর-উক্তি

“যে সত্যকে ভয় পায়, সে নিজের অন্ধত্বই চিরদিন বহন করে।”

আমরা যা হারাই, তা-ই কখনও কখনও আমাদের সবচেয়ে গভীরভাবে গড়ে তোলে।”

ডজুনা বার্নস-এর-উক্তি

“ভালোবাসা কখনও নিখুঁত নয়; তবু আমরা তার কাছে পরিপূর্ণতা খুঁজে ফিরি।”

“কষ্টের ভিতরেও সৌন্দর্য থাকে, যদি দেখার চোখ থাকে।”

ডজুনা বার্নস-এর-উক্তি

“সময় মানুষকে বদলায় না—সময় শুধু তার সত্য স্বরূপ প্রকাশ করে।”

“মানুষ যত জানে, ততই নীরব হয়ে যায়।”

ডজুনা বার্নস-এর-উক্তি

অতীতকে মুছে ফেলা যায় না, কিন্তু তার সঙ্গে শান্তি করা যায়।”

“কেউ আপনাকে সত্যিই জানে না, যতক্ষণ না সে আপনার নীরবতাও বুঝতে পারে।”

ডজুনা বার্নস-এর-উক্তি

“জীবন কখনও সরলরেখায় চলে না; বাঁকগুলোই আমাদের পথ দেখায়।”

ভালোবাসা দাবি করে না—সে কেবল উপস্থিত থাকে, আর তাও যথেষ্ট।”

ডজুনা বার্নস-এর-উক্তি

“দুঃখ মানুষকে চিন্তাশীল করে, আর আনন্দ তাকে বিস্মৃত করে।”

“যে নিজের ভিতর আলো খুঁজে পায় না, সে বাইরের আলোতেও পথ হারাবে।”

ডজুনা বার্নস-এর-উক্তি

“মানুষের সত্যিকারের শক্তি তার সহ্য করার ক্ষমতায় লুকিয়ে থাকে।”

“আমরা যা বলি তার চেয়ে যা অনুভব করি, তা-ই আমাদের প্রকৃত পরিচয়।”

ডজুনা বার্নস  এর বইয়ের নাম

Nightwood (1936) – Ryder (1928) – Ladies Almanack (1928) – Smoke and Other Poems (1915) – The Book of Repulsive Women (1915) – The Antiphon (1958) – নাটক

ডজুনা বার্নস  এর বইয়ের নাম

Creatures in an Alphabet (1982) – কবিতা/ইলাস্ট্রেশন – Spillway (1962) – কবিতা – Selected Works of Djuna BarnesCollected Poems: Djuna BarnesInterviews and Reportage (তার সাংবাদিক রচনার সংগ্রহ) – A Book (1923) – গল্প/প্রবন্ধ সংগ্রহ

ডজুনা বার্নস  এর বইয়ের নাম

Greenwich Village As It Is (প্রবন্ধ/সাংবাদিক লেখা) – Bow Down – নাটক (অপ্রকাশিত সংস্করণও রয়েছে) – The Dove – নাট্যরচনা – To the Dogs – নাটক – Transfigured Night – প্রাথমিক কবিতা/গদ্য রচনা – The Silver Bowl – ছোটগল্প/প্রারম্ভিক রচনা – The Thick of It – প্রবন্ধ/সাংবাদিক রচনা – Dear Mrs. Barnes: Letters of Djuna Barnes – চিঠিপত্র সংগ্রহ (পরে প্রকাশিত)

অনলাইন সাহিত্য পত্রিকা । প্রতিদিন - যে কোনো সময় লেখা পোস্ট করা যায় । গল্প , কবিতা , অণু কবিতা , অণু গল্প , ছড়া, স্মৃতিকথা , দিনলিপি , প্রবন্ধ , নিবন্ধ , বই রিভিউ, নাটক , সিনেমা , খেলা রিভিউ, মতামত , খোলামেলা আড্ডার কথা ,  ধারাবাহিক বড়ো গল্প, উপন্যাস ।