মোঃ ফখরুল ইসলাম সাগর
ওঠো, জনতা, এবার শোনো, মুক্তির সেই প্রলয় ডাক,
বুকের পাঁজর দিয়েছি, এবার শোধের পালা থাক।
যুগে যুগে মোরা যোদ্ধা, ভয় করিনি কোনো গ্রাস,
এই মাটি রক্তে ভেজা, লিখেছি তো ইতিহাস।
প্রতিটি শিরায় বয়ে চলে সেই বিদ্রোহের আগুন,
আর কোনো অন্যায় সইবো না, এই বাংলায় ফাগুন।
কারা ভেঙেছে আমাদের স্বপ্নের যত ঘর-দুয়ার,
কারা দিয়েছে লাঞ্ছনা, বন্ধ করেছে মুক্তির দ্বার?
অন্যায়ের সেই হিসাব কড়ায় গণ্ডায় শোধ হবেই,
দাসত্বের শিকল মোরা পায়েতে পরবো না কেউই।
গর্জে ওঠে দিক-বিদিক, হাতে নাও তলোয়ারের তেজ,
শোষকের সিংহাসন ভেঙে দিতে, আজ তোলাই হবে বেজ।
ঐ শোনো, ঐ পূর্ব দিগন্তে রক্তিম সূর্য হাসে,
শহীদেরা ডাকে মোদের মুক্তিরই বাতাসে।
কত প্রাণের বিনিময়ে এলো এই স্বাধীনতা,
প্রতি ফোঁটা রক্তে লেখা তাদেরই অমর বারতা।
যে মাটিতে শহীদের রক্ত আজও করে আনাগোনা,
সে মাটির সম্মান রাখি, কোনোমতে ভুলবো না।
যদি থাকে শিরদাঁড়া, যদি থাকে বিদ্রোহের রেশ,
একবার নয়, শতবার লড়বো, যদি হয় নির্বিশেষ।
নতুনের কেতন উড়ুক, জাগুক নতুন আশা,
আমাদের এই সংগ্রাম, শুধু তো ভালোবেসে বাঁচা।
শান্তি নয়, আগে চাই মুক্তির অধিকার,
ভয়-ভীতির যত দেওয়াল, ভাঙবো বারেবার।
এইবার এক হয়ে দাঁড়াই, সব ভেদাভেদ ভুলে,
মুক্তির মশাল জ্বেলে চলি শত ঝঞ্ঝা কূলে।
প্রজন্মের কাছে মোদের একটাই তো অঙ্গীকার,
অধিকার ছিনিয়ে আনবো, ভাঙবো সকল দ্বার।
শপথ নাও আজ এই দিনে— বজ্রকণ্ঠে, বুকে হাত,
বাংলা আমাদেরই রবে, কাঁপুক অশুভ রাত।
চলো হই নির্ভীক, বিপ্লবী, নেই কোনো সংশয়,
এইবার শেষ লড়াই, নিশ্চিত হবে বিজয়!




















