Writing the Breakout Novel by Donald Maass
ভূমিকা
লেখকদের সাধারণ উপন্যাসের বাইরে উঠিয়ে নেবার জন্য কীভাবে একটি “ব্রেকআউট নভেল” (অর্থাৎ, এমন উপন্যাস যা বিক্রিত হয় ও পাঠকদের মনে গভীর ছাপ ফেলে) লেখা যায়, সে বিষয়ে মাআস নিজের অভিজ্ঞতা ও প্রাকটিক্যাল টিপস শেয়ার করেন। তিনি বলেন—এই বইটি কোনো নির্দিষ্ট ফর্মুলা নয়; বরং এটি একটি টুলকিট, যা লেখকদের গল্পের প্রতিটি উপাদান যেমন ধারণা, দাবী, চরিত্র, প্লট, থিম ইত্যাদি জোরদার করতে সহায়তা করে।
অধ্যায় ১: কেন ব্রেকআউট নভেল লিখবেন?
• উদ্দেশ্য ও বাস্তবতা:
– প্রচলিত সাফল্যের গল্প ও অলপস্বপ্নের ধারণা তুলে ধরে মাআস ব্যাখ্যা করেন কেন সাধারণ ধারণা থেকে বাইরে গিয়ে কাজ করা উচিত।
• প্রকাশনা ও লেখকদের বাস্তবতা:
– লেখকদের ভুল ধারণা দূর করে, লেখার খামতি ও বাজারের চ্যালেঞ্জের মূল কারণ ব্যাখ্যা করেন।
• ডিজিটাল বিপ্লব:
– ই–রেভলিউশনের আলোকে, কিভাবে ডিজিটাল যুগ প্রকাশনার জগতে পরিবর্তন এনেছে তা তুলে ধরেন।
• প্রেরণা:
– লেখকদের নিজেদের কাজকে উন্নত করে “ব্রেকআউট” পর্যায়ে পৌঁছানোর আহ্বান জানান।
অধ্যায় ২: ধারণা (Premise)
• মূল ধারণা:
– একটি শক্তিশালী ও মৌলিক ধারণা তৈরি করা, যা আপনার উপন্যাসকে অনন্য করে তোলে।
• গুণাবলী:
– মৌলিকতা, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, আবেগের গভীরতা—এসব উপাদানের সমন্বয়ে একটি চমৎকার ধারণা গড়ে ওঠে।
• আইডিয়া উদ্ভাবন:
– ছোট ছোট গল্পের উপাদানগুলোকে মিলিয়ে একটি শক্তিশালী ধারণা তৈরির প্রক্রিয়া ও মস্তিষ্কে ধারণা গড়ে তোলার পদ্ধতি শিখিয়ে দেন।
অধ্যায় ৩: দাবী (Stakes)
• গল্পের চালিকা শক্তি:
– পাঠককে গল্পে আকৃষ্ট রাখার জন্য কীভাবে উচ্চস্তরের দাবী তৈরি করা যায় তা ব্যাখ্যা করেন।
• পাবলিক ও ব্যক্তিগত দাবী:
– বাহ্যিক (পাবলিক) ও অভ্যন্তরীণ (ব্যক্তিগত) দাবীর মধ্যে পার্থক্য ও উভয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
• চাপ ও উত্তেজনা বৃদ্ধি:
– কিভাবে ধারাবাহিকভাবে দাবী বাড়িয়ে গল্পে উত্তেজনা তৈরি করা যায় তার পদ্ধতি আলোচনা করেন।
অধ্যায় ৪: সময় ও স্থান (Time and Place)
• পরিবেশের গুরুত্ব:
– উপন্যাসে সেটিং শুধু পটভূমি নয়, বরং চরিত্র ও প্লটের সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করে।
• মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব:
– কিভাবে স্থান ও সময় চরিত্রের মনোভাব, আবেগ ও গল্পের গতিপথকে প্রভাবিত করে তা তুলে ধরা হয়।
• বাস্তবতা ও প্রাসঙ্গিকতা:
– ইতিহাস, সামাজিক প্রবণতা ও বর্তমান সময়ের সাথে মিল রেখে একটি প্রামাণ্য পরিবেশ গড়ে তোলার পদ্ধতি।
অধ্যায় ৫: চরিত্র (Characters)
• অসাধারণ চরিত্র নির্মাণ:
– সাধারণ চরিত্রের বাইরে গিয়ে এমন চরিত্র তৈরি করার পরামর্শ দেন, যাদের ব্যক্তিত্ব অত্যন্ত প্রাণবন্ত ও জটিল।
• গভীরতা ও বৈচিত্র্য:
– চরিত্রের শক্তি ও দুর্বলতা, অভিজ্ঞতা ও ইতিহাসের সমন্বয় ঘটিয়ে এমন চরিত্র তৈরির কলাকৌশল শেয়ার করেন।
• সম্পর্ক ও বিকাশ:
– প্রধান চরিত্র, বিপরীত চরিত্র ও সহায়ক চরিত্রদের মধ্যে জটিল সম্পর্ক ও বিকাশের প্রক্রিয়া তুলে ধরেন।
অধ্যায় ৬: প্লট (Plot)
• সংঘাত ও উত্তেজনা:
– গল্পের চালিকা শক্তি হিসেবে সংঘাতের গুরুত্ব ও এর উপাদানগুলো ব্যাখ্যা করেন।
• প্লট নির্মাণের উপাদান:
– পাঁচটি মূল উপাদান ও “ব্রিজিং কনফ্লিক্ট” (সংঘাতের সেতুবন্ধন) পদ্ধতি আলোচনা করেন।
• গল্পের কাঠামো:
– উত্তেজনাপূর্ণ মোড়, উচ্চ মুহূর্ত এবং শান্ত পর্বের মধ্যে সঠিক সমন্বয় বজায় রাখার টিপস প্রদান করেন।
অধ্যায় ৭: সমকালীন প্লট কৌশল (Contemporary Plot Techniques)
• আধুনিক গল্প বলার ধরণ:
– প্রচলিত প্লট কাঠামোকে আপডেট করে আধুনিক পাঠকের জন্য কিভাবে গল্প সাজানো যায় তা শিখানো হয়।
• অলংকৃত ও অ-রৈখিক কাহিনী:
– অ-রৈখিক (ননলাইনিয়ার) কাহিনী ও চরিত্র-নেতৃत्त्वপূর্ণ গল্প বলার কৌশল নিয়ে আলোচনা।
• প্রতি পৃষ্ঠায় উত্তেজনা:
– গল্পের প্রতিটি অধ্যায়ে ও পৃষ্ঠায় উত্তেজনা বজায় রাখার কলাকৌশল।
অধ্যায় ৮: বহুবিধ দৃষ্টিকোণ, উপকাহিনী, গতি, কণ্ঠস্বর ও সমাপনী (Multiple Viewpoints, Subplots, Pace, Voice, Endings)
• বহু দৃষ্টিকোণ:
– বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে গল্প বলার কৌশল, যাতে পাঠক বিভ্রান্ত না হয়।
• উপকাহিনী:
– প্রধান গল্পের সাথে সুসংগত উপকাহিনী তৈরি করার উপায়, যা মূল গল্পকে সমৃদ্ধ করে।
• গতি ও কণ্ঠস্বর:
– উপন্যাসের গতি নিয়ন্ত্রণ, স্বতন্ত্র লেখনী কণ্ঠস্বর তৈরি ও চমৎকার সমাপনী লেখার কৌশল।
অধ্যায় ৯: উন্নত প্লট কাঠামো (Advanced Plot Structures)
• প্রাথমিক থেকে এগিয়ে যাওয়া:
– সাধারণ প্লট কাঠামোর বাইরে গিয়ে আরো জটিল ও সৃজনশীল কাঠামো তৈরি করার পরামর্শ।
• শৈলী ও জঁড়ের ধরন:
– থ্রিলার, ঐতিহাসিক উপন্যাস, ক্রসওভার ফিকশন ইত্যাদি বিভিন্ন শৈলীতে প্লট কৌশলের দিকনির্দেশনা।
• নিজস্ব কাঠামো:
– লেখকদের নিজস্ব প্লট কাঠামো উদ্ভাবনের উৎসাহ প্রদান।
অধ্যায় ১০: থিম (Theme)
• গল্পের অন্তর্নিহিত বার্তা:
– উপন্যাসে এমন একটি থিম বা বার্তা থাকা যা পাঠকের সাথে গভীরভাবে সংযুক্ত হয়।
• ধাপে ধাপে থিম নির্মাণ:
– থিমের বিকাশ, প্রতীক ও উপ-প্রতীক ব্যবহার করে কীভাবে প্রাকৃতিকভাবে থিমকে গল্পের অংশ করে তোলা যায়।
• থিম ও গল্পের সমন্বয়:
– চরিত্র, প্লট ও থিম একসাথে মিশে যাওয়ার উপায় ব্যাখ্যা করা হয়।
অধ্যায় ১১: ব্রেকআউট (Breaking Out)
• সৃজনশীল থেকে বাজারে:
– কিভাবে আপনার লেখা উপন্যাসকে প্রকাশনা ও বিপণনের জগতে একটি সাফল্যের মাইলফলক হিসেবে গড়ে তুলবেন তা শেখানো হয়।
• পিচ ও কুয়েরি লেটার:
– এজেন্ট ও সম্পাদকদের নজর কেড়ে নেওয়ার জন্য কার্যকর কুয়েরি লেটার ও পিচ তৈরির কৌশল।
• ভবিষ্যতের পরিকল্পনা:
– সিক্যুয়েল, সিরিজ ও দীর্ঘমেয়াদী লেখক জীবনের জন্য প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা।