লেখক – আঠারো

ভূমিকা
 লেখকদের সাধারণ উপন্যাসের বাইরে উঠিয়ে নেবার জন্য কীভাবে একটি “ব্রেকআউট নভেল” (অর্থাৎ, এমন উপন্যাস যা বিক্রিত হয় ও পাঠকদের মনে গভীর ছাপ ফেলে) লেখা যায়, সে বিষয়ে মাআস নিজের অভিজ্ঞতা ও প্রাকটিক্যাল টিপস শেয়ার করেন। তিনি বলেন—এই বইটি কোনো নির্দিষ্ট ফর্মুলা নয়; বরং এটি একটি টুলকিট, যা লেখকদের গল্পের প্রতিটি উপাদান যেমন ধারণা, দাবী, চরিত্র, প্লট, থিম ইত্যাদি জোরদার করতে সহায়তা করে।

অধ্যায় ১: কেন ব্রেকআউট নভেল লিখবেন?
 • উদ্দেশ্য ও বাস্তবতা:
  – প্রচলিত সাফল্যের গল্প ও অলপস্বপ্নের ধারণা তুলে ধরে মাআস ব্যাখ্যা করেন কেন সাধারণ ধারণা থেকে বাইরে গিয়ে কাজ করা উচিত।
 • প্রকাশনা ও লেখকদের বাস্তবতা:
  – লেখকদের ভুল ধারণা দূর করে, লেখার খামতি ও বাজারের চ্যালেঞ্জের মূল কারণ ব্যাখ্যা করেন।
 • ডিজিটাল বিপ্লব:
  – ই–রেভলিউশনের আলোকে, কিভাবে ডিজিটাল যুগ প্রকাশনার জগতে পরিবর্তন এনেছে তা তুলে ধরেন।
 • প্রেরণা:
  – লেখকদের নিজেদের কাজকে উন্নত করে “ব্রেকআউট” পর্যায়ে পৌঁছানোর আহ্বান জানান।

অধ্যায় ২: ধারণা (Premise)
 • মূল ধারণা:
  – একটি শক্তিশালী ও মৌলিক ধারণা তৈরি করা, যা আপনার উপন্যাসকে অনন্য করে তোলে।
 • গুণাবলী:
  – মৌলিকতা, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, আবেগের গভীরতা—এসব উপাদানের সমন্বয়ে একটি চমৎকার ধারণা গড়ে ওঠে।
 • আইডিয়া উদ্ভাবন:
  – ছোট ছোট গল্পের উপাদানগুলোকে মিলিয়ে একটি শক্তিশালী ধারণা তৈরির প্রক্রিয়া ও মস্তিষ্কে ধারণা গড়ে তোলার পদ্ধতি শিখিয়ে দেন।

অধ্যায় ৩: দাবী (Stakes)
 • গল্পের চালিকা শক্তি:
  – পাঠককে গল্পে আকৃষ্ট রাখার জন্য কীভাবে উচ্চস্তরের দাবী তৈরি করা যায় তা ব্যাখ্যা করেন।
 • পাবলিক ও ব্যক্তিগত দাবী:
  – বাহ্যিক (পাবলিক) ও অভ্যন্তরীণ (ব্যক্তিগত) দাবীর মধ্যে পার্থক্য ও উভয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
 • চাপ ও উত্তেজনা বৃদ্ধি:
  – কিভাবে ধারাবাহিকভাবে দাবী বাড়িয়ে গল্পে উত্তেজনা তৈরি করা যায় তার পদ্ধতি আলোচনা করেন।

অধ্যায় ৪: সময় ও স্থান (Time and Place)
 • পরিবেশের গুরুত্ব:
  – উপন্যাসে সেটিং শুধু পটভূমি নয়, বরং চরিত্র ও প্লটের সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করে।
 • মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব:
  – কিভাবে স্থান ও সময় চরিত্রের মনোভাব, আবেগ ও গল্পের গতিপথকে প্রভাবিত করে তা তুলে ধরা হয়।
 • বাস্তবতা ও প্রাসঙ্গিকতা:
  – ইতিহাস, সামাজিক প্রবণতা ও বর্তমান সময়ের সাথে মিল রেখে একটি প্রামাণ্য পরিবেশ গড়ে তোলার পদ্ধতি।

অধ্যায় ৫: চরিত্র (Characters)
 • অসাধারণ চরিত্র নির্মাণ:
  – সাধারণ চরিত্রের বাইরে গিয়ে এমন চরিত্র তৈরি করার পরামর্শ দেন, যাদের ব্যক্তিত্ব অত্যন্ত প্রাণবন্ত ও জটিল।
 • গভীরতা ও বৈচিত্র্য:
  – চরিত্রের শক্তি ও দুর্বলতা, অভিজ্ঞতা ও ইতিহাসের সমন্বয় ঘটিয়ে এমন চরিত্র তৈরির কলাকৌশল শেয়ার করেন।
 • সম্পর্ক ও বিকাশ:
  – প্রধান চরিত্র, বিপরীত চরিত্র ও সহায়ক চরিত্রদের মধ্যে জটিল সম্পর্ক ও বিকাশের প্রক্রিয়া তুলে ধরেন।

অধ্যায় ৬: প্লট (Plot)
 • সংঘাত ও উত্তেজনা:
  – গল্পের চালিকা শক্তি হিসেবে সংঘাতের গুরুত্ব ও এর উপাদানগুলো ব্যাখ্যা করেন।
 • প্লট নির্মাণের উপাদান:
  – পাঁচটি মূল উপাদান ও “ব্রিজিং কনফ্লিক্ট” (সংঘাতের সেতুবন্ধন) পদ্ধতি আলোচনা করেন।
 • গল্পের কাঠামো:
  – উত্তেজনাপূর্ণ মোড়, উচ্চ মুহূর্ত এবং শান্ত পর্বের মধ্যে সঠিক সমন্বয় বজায় রাখার টিপস প্রদান করেন।

অধ্যায় ৭: সমকালীন প্লট কৌশল (Contemporary Plot Techniques)
 • আধুনিক গল্প বলার ধরণ:
  – প্রচলিত প্লট কাঠামোকে আপডেট করে আধুনিক পাঠকের জন্য কিভাবে গল্প সাজানো যায় তা শিখানো হয়।
 • অলংকৃত ও অ-রৈখিক কাহিনী:
  – অ-রৈখিক (ননলাইনিয়ার) কাহিনী ও চরিত্র-নেতৃत्त्वপূর্ণ গল্প বলার কৌশল নিয়ে আলোচনা।
 • প্রতি পৃষ্ঠায় উত্তেজনা:
  – গল্পের প্রতিটি অধ্যায়ে ও পৃষ্ঠায় উত্তেজনা বজায় রাখার কলাকৌশল।

অধ্যায় ৮: বহুবিধ দৃষ্টিকোণ, উপকাহিনী, গতি, কণ্ঠস্বর ও সমাপনী (Multiple Viewpoints, Subplots, Pace, Voice, Endings)
 • বহু দৃষ্টিকোণ:
  – বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে গল্প বলার কৌশল, যাতে পাঠক বিভ্রান্ত না হয়।
 • উপকাহিনী:
  – প্রধান গল্পের সাথে সুসংগত উপকাহিনী তৈরি করার উপায়, যা মূল গল্পকে সমৃদ্ধ করে।
 • গতি ও কণ্ঠস্বর:
  – উপন্যাসের গতি নিয়ন্ত্রণ, স্বতন্ত্র লেখনী কণ্ঠস্বর তৈরি ও চমৎকার সমাপনী লেখার কৌশল।

অধ্যায় ৯: উন্নত প্লট কাঠামো (Advanced Plot Structures)
 • প্রাথমিক থেকে এগিয়ে যাওয়া:
  – সাধারণ প্লট কাঠামোর বাইরে গিয়ে আরো জটিল ও সৃজনশীল কাঠামো তৈরি করার পরামর্শ।
 • শৈলী ও জঁড়ের ধরন:
  – থ্রিলার, ঐতিহাসিক উপন্যাস, ক্রসওভার ফিকশন ইত্যাদি বিভিন্ন শৈলীতে প্লট কৌশলের দিকনির্দেশনা।
 • নিজস্ব কাঠামো:
  – লেখকদের নিজস্ব প্লট কাঠামো উদ্ভাবনের উৎসাহ প্রদান।

অধ্যায় ১০: থিম (Theme)
 • গল্পের অন্তর্নিহিত বার্তা:
  – উপন্যাসে এমন একটি থিম বা বার্তা থাকা যা পাঠকের সাথে গভীরভাবে সংযুক্ত হয়।
 • ধাপে ধাপে থিম নির্মাণ:
  – থিমের বিকাশ, প্রতীক ও উপ-প্রতীক ব্যবহার করে কীভাবে প্রাকৃতিকভাবে থিমকে গল্পের অংশ করে তোলা যায়।
 • থিম ও গল্পের সমন্বয়:
  – চরিত্র, প্লট ও থিম একসাথে মিশে যাওয়ার উপায় ব্যাখ্যা করা হয়।

অধ্যায় ১১: ব্রেকআউট (Breaking Out)
 • সৃজনশীল থেকে বাজারে:
  – কিভাবে আপনার লেখা উপন্যাসকে প্রকাশনা ও বিপণনের জগতে একটি সাফল্যের মাইলফলক হিসেবে গড়ে তুলবেন তা শেখানো হয়।
 • পিচ ও কুয়েরি লেটার:
  – এজেন্ট ও সম্পাদকদের নজর কেড়ে নেওয়ার জন্য কার্যকর কুয়েরি লেটার ও পিচ তৈরির কৌশল।
 • ভবিষ্যতের পরিকল্পনা:
  – সিক্যুয়েল, সিরিজ ও দীর্ঘমেয়াদী লেখক জীবনের জন্য প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top