সাহিত্য সৃজন ও সমাজ কল্যাণের স্বীকৃতি স্বরূপ
“বঙ্গ রত্ন পুরস্কার -২০২৫” পেলেন বিশিষ্ট লেখক, সম্পাদক ও সমাজকর্মী অধ্যাপক মহীতোষ গায়েন
প্রতিবেদন :
২৯ নভেম্বর,২০২৫ ,অরণ্য বাংলা ফাউন্ডেশন ও True Brand Multiplex এর উদ্যোগে সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামের সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হয় সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিভাদের অন্বেষণ করে
“বঙ্গ রত্ন পুরস্কার -২০২৫” প্রদান অনুষ্ঠান।
এদিন Trueband Multiplex CEO মহম্মদ নায়িম আলম বলেন “এই প্রতিভা অন্বেষণ ও নির্বাচন করতে আমাদের কালঘাম ছূটে গেছে।কারণ, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিদের ১৫০০ আবেদন পত্র জমা পড়ে। তাদের মধ্যে ৭৫ জনকে তাদের বিভিন্ন বিশেষ কৃতিত্বের জন্য নির্বাচন করে বঙ্গ রত্ন পুরস্কার -২০২৫ প্রদান করা হয়, এদের মধ্যে শিল্পী, সাহিত্যিক, অভিনেতা বাচিক শিল্পী,সমাজ চিন্তক, প্রকাশক,খেলোয়াড়,পরিবেশবিদ প্রমুখ আছেন,১৪ বছর ধরে তারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এটি করে চলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ তাদের এই প্রয়াস দুই বছর।”

এদিন অধ্যাপক মহীতোষ গায়েন ছাড়াও বিশিষ্ট আর যারা বঙ্গরত্ন পুরস্কার পেলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মিউজিক কম্পোজার পন্ডিত মল্লার ঘোষ, অভিনেতা অমিতাভ ভট্টাচার্য,অয়ন ঘোষ ,সঙ্গীত শিল্পী জেনিভা রায়, শুভজিত মুখোপাধ্যায়
অধ্যাপক তন্ময় ঘোষ,মদন চন্দ্র করণ,অনিমেষ মণ্ডল ,অভিনেত্রী মল্লিকা ঘোষ,বাচিক শিল্পী জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়সহ এডভোকেট মিতা ঘোষসহ মোট ৭৫ জন গুণীজন।
অধ্যাপক মহীতোষ গায়েন তার সাহিত্য ও ইতিহাস
গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনা এবং সমাজে জনকল্যাণকামী কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এই পুরস্কার পেলেন। অধ্যাপক মহীতোষ গায়েন মোট ১৮টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। গবেষণা গ্রন্থ রচনা করেছেন ৪টি, কাব্যগ্রন্থ -৪টি, তাঁর সম্পাদিত ইতিহাস জার্নাল এর সংখ্যা ৩টি যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘আবহমান’ ও ‘সুচিন্তা’

ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন ১৭টি। এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে তার ৩৩টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন পত্রিকায় জার্নালে, ইতিমধ্যেই তার ৮টি গবেষণা প্রবন্ধ বিশেষজ্ঞ দ্বারা সংশায়িত ৮টি রেপুটেড জার্নালে প্রকাশিত। জার্মানী, সুইডেন, অস্ট্রিয়া, প্যারিস, বাংলাদেশ, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক পত্র পত্রিকায় এবং দেশীয় স্তরে বিভিন্ন পত্রিকায়, সংবাদ পত্রে তথা ৫০টির বেশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে কবিতা, প্রবন্ধ, ফিচার,ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে নিয়মিত ও অনিয়মিত ভাবে।

এছাড়া অধ্যাপক গায়েন সমাজ চিন্তক হিসেবে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক সংস্থার দুঃস্থ অসহায় ছাত্রছাত্রীদের বই, পোশাক এবং বিভিন্ন অসহায় মহিলাদের পোশাক ক্রয়ের জন্য নিরলস ভাবে সাধ্যমত আর্থিক সহায়তা করে আসছেন বহু বছর ধরে। শুধু তাই নয় তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবাদর্শে দীক্ষিত হয়ে তিনি বহু বছর ধরে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক ভাবে সমাজ মাধ্যমে এবং সোস্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ভাবে অধ্যাপনার সময়ের বাইরে কাজ করে চলেছেন।
সাংগঠনিক স্তরেও তিনি শীত বস্ত্র, বন্যা দুর্গতদের এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মানুষের আর্থিক সহায়তা করে সাধ্যমত জনকল্যাণ কাজে নিয়োজিত রেখেছেন নিরবধি। এছাড়া বিভিন্ন সাহিত্য, ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক সংস্থায় নিজ দক্ষতায় সেই সব সংস্থার সদস্যদের আশীর্বাদ ভোটে নির্বাচিত হয়ে তিনি কাজ করে চলেছেন অবিরাম।

তার এই অসামান্য সামাজিক অবদান ও সাহিত্য কীর্তির স্বীকৃতি স্বরূপ উক্ত সংস্থা তাকে “Literary Personality and Social Activist of the Year” নির্বাচিত করে “বঙ্গ রত্ন পুরস্কার -২০২৫” প্রদান করলেন।
তার কথার সূত্র ধরে বলা যায় তীব্র আর্থিক সংকটে অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে তিনি তিল তিল করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। তাই দুঃস্থ, অসহায় মানুষের জন্য তার প্রাণ কাঁদে প্রতিনিয়ত।
মহীতোষ বলেন “এই পুরস্কার পেয়ে আমি গর্বিত, উক্ত দুই সংস্থার কর্মকর্তা ও নির্বাচকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই ধরণের ভালো কাজ সভ্যতায় নবজাগরণ এনে দেয়, মানুষের সৃজনশীলতা যেমন বৃদ্ধি করে তেমনি জনকল্যাণ সাধিত হয়, সমাজের প্রতি আমার দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল।”

তার স্বর্গীয় পিতা বিনোদ বিহারী গায়েন অবিভক্ত ২৪পরগনায় নিজের শিক্ষকতার চাকরি ৮ বছর করে স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিয়ে ৫২টি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন, এবং মানুষের কল্যাণ কাজে নিয়োজিত হয়েছিলেন।এহেন পিতার সুযোগ্য পুত্র মহীতোষ আজ সিটি কলেজের উপাধ্যক্ষ।তার কথায় “যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন সাহিত্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতি চর্চা ও সৃজন কাজের সাথে সাথেই জনকল্যাণকামী কাজে নিয়োজিত রাখবো নিজেকে। তিনি আরো বলেন “মানুষের জন্য কিছু ভালো কাজ তথা জনকল্যাণকামী কাজের জন্য দরকার হয় রাজনৈতিক ক্ষমতা ও পদের দরকার হয়,সেটা তার আজও নেই” ।
দীর্ঘ ১২বছর ধরে দল ও দলীয় অধ্যাপক সংগঠন WBCUPA -র কাজ নিরলস ভাবে তিনি করে চলেছেন নিষ্ঠা,সততা ও পরিচ্ছন্নতার সাথে আজও।তাই আমজনতা চায় এই ধরণের মানুষকে জনপ্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দিলে মানুষের কল্যাণ হবে, দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। তাঁর দলের কাছ থেকে সেই প্রস্তাব এলে তিনি তা সানন্দে রাজি থাকবেন বলে জানিয়েছেন।কারণ জনসেবা ও জনকল্যাণকামী আদর্শ তার মজ্জাগত।
সেই প্রত্যাশায় দিন গুনছেন বঙ্গের সুযোগ্য সন্তান ‘বঙ্গ রত্ন পুরস্কার-২০২৫’ প্রাপক অধ্যাপক ( ড.) মহীতোষ গায়েন।
জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জননেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কাজের শরিক হয়ে নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করে যেতে চান তিনি, যদিও তা নির্ভর করছে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জননেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ,ইচ্ছের উপর। সেই সময়ের জন্য অপেক্ষায় তার অসংখ্য শুভানুধ্যায়ীরা।

ডঃ মহিতোষ গায়েন

অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই ।