কেন জানি খুব কাঁদতে ইচ্ছা করছে!কেমন জানি দমবন্ধ দমবন্ধ হওয়া কষ্ট! কিন্তু কেন এই কষ্ট তা জানি না।।আবার মনে হচ্ছে জানি,কিন্তু তা স্বীকার করতে চাচ্ছি না।হয়তো কষ্টটাকে পাত্তা না দেয়া ভাব।।যেন দূর হয়ে যাবে।।যদি তাই-ই হয় তবে কষ্ট-ই বা পাচ্ছি কেন? কোনোভাবেই কি তা থেকে বাঁচা যায় না? নিজেকে প্রশান্তিতে রাখা যায় না?হয়তোবা যায়।।তো আমরা নিজেদেরকে প্রশান্তিতে রাখি না কেন?বৃথা কষ্ট পাবার দরকার কি?এটা কি অবচেতন মনের গোপন ইচ্ছা? নিজেকে কষ্টে জ্বলিয়ে পুড়িয়ে মারা?আর যদি অবচেতন মনের তাই-ই ইচ্ছা থাকে তাহলে আমরা কষ্ট থেকে বাঁচতে চাই কেন?কোন এক মিথ্যা বাহানা?হয়তোবা তাই।।দুঃখে জর্জরিত হলেও দুঃখ আগলে বসে থাকা।দুঃখ থেকে দূরে না সরে যাওয়া।।জানি না জানি না বলেও সব জানা বুকের অভ্যন্তরে ডুবিয়ে রাখা।বাহানার মুখোশে নিজেকে ঢেকে রাখা।।সবই যেন লোক দেখানো ছলনা।।তবে অদ্ভুত ব্যাপার হলো এই ছলনাতেও কষ্ট থাকে এবং তা প্রকাশ্য।।বেশিরভাগ হৃদয়-ই তা বুঝতে পারে এবং মেনে নেই।।হৃদয় তখনই খুব নরম হবে যখন তা দুঃখকে খুব সহযে বুঝতে পারবে।। হয়তো তা অবচেতন মনেরই কোন ইচ্ছা।।
মানুষ জানে না এই সচেতন মন অবচেতন মনের যুদ্ধ কবে শেষ হবে।।সে শুধু দর্শক হিসেবে উপভোগ করতে জানে।।এবং উপভোগ করতে চাই বলেই কখনো তা না থামিয়ে চুপচাপ পাশ কেটে যায়।।শুধুই উপভোগ করবে বলে।।
– তানভীর খন্দকার
















