লেখক – ষোল

অধ্যায় ১: “লেখার জীবন”

অ্যানি ডিলার্ড লেখালেখির প্রকৃতি নিয়ে তার প্রতিফলন শুরু করেন, যা একাকী, কঠিন এবং কখনও কখনও অপারাধজনক হতে পারে। তিনি লেখার প্রক্রিয়াকে যুদ্ধ এবং আনন্দ উভয় হিসেবে বর্ণনা করেন এবং লেখাকে একটি তাৎক্ষণিকতার সঙ্গে করতে হবে বলে মনে করেন। লেখককে উচ্চ স্তরের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে হবে, কাজের প্রতি মনোযোগী হতে হবে এবং সৃজনশীল এবং বুদ্ধিবৃত্তিক চ্যালেঞ্জগুলোকে গ্রহণ করতে হবে। ডিলার্ড লেখাকে একটি পর্বতের শিখরে আরোহণের সাথে তুলনা করেছেন— এটি কঠিন কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুরস্কৃত।

অধ্যায় ২: “লেখার চ্যালেঞ্জ”

এই অধ্যায়ে ডিলার্ড লেখকদের মুখোমুখি হওয়া অনেক বাধা সম্পর্কে কথা বলেছেন: সময়, বিভ্রান্তি, সন্দেহ এবং ভয়। তিনি বর্ণনা করেন কিভাবে এই চ্যালেঞ্জগুলি লেখকের শক্তি এবং উদ্দীপনা শুষে নিতে পারে। তবে, প্রকৃত লেখক এই বাধাগুলোর মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায়। ডিলার্ড বলেন, লেখার প্রক্রিয়া একটি ব্যক্তিগত সংগ্রাম, প্রায়শই এটি আত্ম-আবিষ্কারের মতো অনুভূত হয়। অধ্যায়টি অধ্যবসায়ের গুরুত্বের একটি আন্ডারলাইং থিম তুলে ধরে। ডিলার্ড আরও বলছেন যে লেখার কাজ কখনও কখনও সংগ্রাম এবং ঈশ্বরের দান দুটোই মনে হতে পারে, যা লেখককে ফলাফল নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা না করেই প্রক্রিয়ার প্রতি মনোযোগ দিতে শিখায়।

অধ্যায় ৩: “লেখার আনন্দ”

ডিলার্ড লেখার পুরস্কার এবং আনন্দের দিকে মনোযোগ দেন। তিনি সেই মুহূর্তগুলির কথা বলেন যখন লেখার প্রক্রিয়া “প্রবাহিত” এবং “জীবন্ত” মনে হয়, যখন ধারণাগুলি সহজে আসে এবং সবকিছু মিলেমিশে যায়। লেখাকে শ্রম এবং আনন্দের একটি ভারসাম্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যেখানে লেখকের তীব্র মনোযোগ কল্পনাতীত মুহূর্তগুলির দিকে নিয়ে যেতে পারে। ডিলার্ড তার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, যেখানে তিনি একটি শান্ত, বিভ্রান্তি মুক্ত পরিবেশে লেখার সময়কাল সম্পর্কে কথা বলেন এবং এটি কেমন মনে হয়েছিল যেন সময় থেমে গিয়েছে। এই অধ্যায়টি লেখার প্রকৃত আনন্দের কথা বলে, যদিও এটি কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বরূপ।

অধ্যায় ৪: “নিঃসঙ্গতার প্রয়োজনীয়তা”

এই অধ্যায়ে ডিলার্ড লেখকের জন্য নিঃসঙ্গতার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, একজন লেখককে একা থাকতে হবে যাতে তারা নিজের অভ্যন্তরীণ কণ্ঠ শুনতে পারে এবং কাজের সঙ্গে সত্যিকারের সংযোগ স্থাপন করতে পারে। ডিলার্ড বলেন, লেখালেখি একটি স্বভাবতই একক প্রচেষ্টা এবং এটি সফলভাবে করতে, একজন লেখককে একাকীত্ব গ্রহণ করতে হবে, যদিও প্রথমে এটি অস্বস্তিকর হতে পারে। তিনি বলেছিলেন যে সমাজের বিভ্রান্তি এবং দাবি লেখকদের জন্য সময় এবং স্থান খুঁজে পাওয়া কঠিন করে তোলে। তবে, নিঃসঙ্গতা লেখককে তাদের কল্পনার গভীরে ডুবে যাওয়ার সুযোগ দেয় এবং লেখালেখির জন্য প্রয়োজনীয় মনোযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে।

অধ্যায় ৫: “লেখকের জীবন”

ডিলার্ড লেখক হিসেবে জীবনের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আরও গভীরভাবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, লেখকের জীবন প্রায়ই বৈপরীত্যপূর্ণ হতে পারে, যেখানে একদিকে তীব্র উৎপাদনশীলতার মুহূর্ত এবং অন্যদিকে আত্মসন্দেহ এবং নিরবতার সময় আসে। তিনি বলেন, লেখকদের এই ওঠানামা গ্রহণ করতে হবে এবং তবুও কাজ করতে থাকতে হবে। ডিলার্ড আরও বলছেন যে একটি রুটিন তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং লেখাকে একটি কাজ হিসেবে নিতে হবে, শুধুমাত্র যখন অনুপ্রেরণা আসে তখন নয়। তিনি বলেছিলেন যে লেখার জন্য শৃঙ্খলা এবং ধারাবাহিকতা প্রয়োজন যাতে কোনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়।

অধ্যায় ৬: “সংশোধনের শিল্প”

এই অধ্যায়ে ডিলার্ড লেখার প্রক্রিয়ায় সংশোধনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, মহান লেখা শুধু প্রথম পাঠে শব্দগুলি পৃষ্ঠায় আনার ব্যাপার নয়; এটি সেই শব্দগুলি অবিচ্ছিন্নভাবে পরিশীলিত এবং উন্নত করার ব্যাপার। ডিলার্ড তার নিজের লেখালেখির জীবনের উদাহরণ শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি বলেছেন সংশোধন প্রায়ই সত্যিকারের জাদু ঘটানোর স্থান। তিনি আরও বলেন যে, যখন প্রথম খসড়া অগোছালো এবং অপ্রতিষেধ হতে পারে, তবে লেখার আসল শিল্প হল সেই কাজের পরিশোধন, গঠন এবং শেপিং প্রক্রিয়া।

অধ্যায় ৭: “শূন্য পৃষ্ঠার ভয়”

ডিলার্ড লেখকদের যে সবচেয়ে সাধারণ ভয়টি মুখোমুখি হয়—শূন্য পৃষ্ঠার ভয়—তার উপর আলোচনা করেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন কিভাবে এই ভয় লেখকদের আষ্টেপৃষ্টে ধরে ফেলে, তাদের কাজ শুরু করতে বা চলতে বাধা দেয়। ডিলার্ড বলেন যে লেখকরা এই ভয়কে কাটিয়ে উঠতে হবে, শুধু লিখে যেতে হবে, কোনভাবেই প্রথম খসড়া অসম্পূর্ণ হোক না কেন। তিনি লেখকদের পরামর্শ দেন শূন্য পৃষ্ঠার দিকে কৌতূহল এবং খেলাধুলার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে, এবং বিশ্বাস রাখতে যে শব্দগুলি আসবে। ডিলার্ড বলেন, তিনি কীভাবে এই ভয়টি কাটিয়ে ওঠেন, লেখার মাধ্যমে লেখার ভয় কাটিয়ে উঠেন, বিচার না করেই শব্দগুলি আসতে দেন।

অধ্যায় ৮: “লেখার জীবন যাপন”

বইটির শেষ অধ্যায় লেখক হিসেবে জীবনযাপনের দার্শনিকতা এবং উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিফলিত হয়। ডিলার্ড বলেন যে, একজন লেখক হওয়া মানে হচ্ছে একটি অবিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা, একা কাজ করা এবং শব্দের মাধ্যমে সত্যতা অনুসন্ধান করা। তিনি বলেন, লেখাটা একটি পবিত্র অনুশীলন, যেখানে লেখক তাদের সম্পূর্ণ আত্মা কাজের প্রতি দিয়ে দেয় এবং সেই কাজ তাদের রূপান্তরিত করতে দেয়। অধ্যায়টি ডিলার্ডের স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেষ হয় যে, লেখালেখি, যদিও চ্যালেঞ্জিং, তবুও এটি অবশেষে এর মূল্যবান। এটি লেখকের জন্য তাদের নিজেদের এবং বিশ্বের সম্পর্কে আরও জানার সুযোগ এনে দেয়।

The Writing Life বইটিতে অ্যানি ডিলার্ড লেখালেখির সংগ্রাম এবং আনন্দের একটি অন্তরঙ্গ, দার্শনিক দৃষ্টিকোণ প্রদান করেন। বইটি একটি নির্দেশিকা এবং একটি ধ্যান হিসেবে কাজ করে, লেখকের যাত্রার বাস্তবতা এবং সৃষ্টি করার জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক শ্রমের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে। প্রতিফলন এবং ব্যক্তিগত আখ্যানের মাধ্যমে ডিলার্ড আমাদের জানিয়ে দেন যে লেখক হিসেবে জীবন কাটানো আসলে কীভাবে এবং কেন তা করা উচিত।

Leave a Comment