শিশির কণা
পর্ব -৩
নাদিয়া রিপাত রিতু
কল কেটে দিলে কি হবে শিশিরকে যে পুরোপুরি ভেঙ্গে দিয়েছে,,,,,
শিশির মনটা খারাপ হয়ে গেল,,,,,,,
আর ভাবতে লাগলো,,,,,,,,আগের কথা,,,,, কতই না সুন্দর ছিলো ওদের শুরুটা,,,,আজ কি থেকে কি হয়ে গেলো,,,,,,,ভাবতে ঘুমিয়ে গেলো,,,,,,,,
ওদের শুরুটা তুলে ধরছি,,,,,,,
রায়ানদের অবস্থা তেমন ভালো ছিলোনা ,,,,রায়ান বিদেশে যায়,,,,,রায়ান অনেক ভালো ইনকাম করতে থাকে,,,,,,বড় করে ঘর বাঁধে উপরে টিন দিয়ে অর্ধ পাকা,,,,,,,,,এর পর দেশে আসে,,,,,,বউ দেখতে থাকে পছন্দ হয়না,,,,,,, রায়ান দেখতে সুন্দর ছিলো, ওর মনের মত মেয়ে পাচ্ছে না বিয়ে করার জন্য।
একদিন শপিং যায়,,,,,,,,,,, শপিং একটা মেয়ের চোখ দেখে মায়ায় পরে যায়,,,,,সে আর কেউ না শিশির,,,,
শিশির মুখে নিকাব দেয় যার কারণে মুখ দেখতে পারেনি রায়ান,,,, শিশির লম্বা ও ছিলো,,,,
রায়ান মুখ না দেখেই বলে,,,,আমি বিয়ে করলে এই মেয়েকে বিয়ে করবো,,,,, খোঁজ নে মেয়েটার বাড়ি কোথায়,,,,,, খোঁজ নিয়ে মেয়েটার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে,,,,,,,এরপর সামনাসামনি দেখার পালা,,,,,, রায়ান সামনাসামনি দেখে,,,,,আরো পাগল হয়ে গেলো শিশিরকে বিয়ে করার জন্য,,,,,,
বিয়ের জন্য সাধারণত চট্টগ্রাম রীতিমতো ফার্নিচার দিতে হয় আর সাংসারিক জিনিস পত্র দিতে হয়,,,রায়ান কোনো কিছু না নিয়ে শিশিরকে বিয়ে করলো,,,,,,
বিয়ের দিন রায়ান অনেক খুশি ছিলো এত খুশি,,,, নিজের বিয়েতে এমনভাবে নেচে ছিলো,,সবাই হাসছিলো ওর কান্ড দেখে,,,,,,,,,
অনেক খুশি মনে শিশিরের সাথে সাংসারিক জীবন শুরু করে,,,,,,,,,
শিশির ভাগ্য করে একটা স্বামী পেয়েছে,,,,,,, স্বামী বউ ছাড়া কিছুই বুঝতো না,,,,,, কিন্তু শাশুড়ি আর রায়ানের বোন রুবি দেখতে পারতো না,,,, শিশিরকে,,,,, সারাক্ষণ কাজ করাতো,,,,,,,, বাপের বাড়ি যেতে দিতো না শিশিরকে,,,,,রুবি শ্বশুর বাড়ি ছিলো কাছে তাই সে বেশির ভাগ সময় থাকতো বাপের বাড়িতে,,,, শিশিরকে সব সময় খোঁচা মেরে মেরে কথা বলতো,,,,,, রায়ান থাকতো দেশের বাইরে,,,,,,ঘনঘন বাড়ি আসতো বউয়ের জন্য,,,,,বউকে নিয়ে ঘুরা ঘুরি করতো,,,,যা শিশিরের শাশুড়ি রেহেনার আর তার মেয়ে রুবির ভালো লাগতো না,,,, রায়ানকে সব সময় শিশিরের নামে এটা সেটা বলতো,,,,যাতে শিশিরকে রায়ান পাত্তা না দেয়,,,,,
রেহেনা চাইতো তার ছেলে যেন তাকে বেশি প্রাধান্য দেয়,,,,,তার কথা আমি ছেলেকে বড় করেছি ছেলে আমার কথা মত চলবে,,,,,,,
এইজন্য রেহেনা তার মেয়ে মিলে শিশিরকে ভালো থাকতে দিতো না,,,,,,, রেহেনা সমাজের দশ জনের কাছে ভালো সিধে সাদা মহিলা ঘরের বউয়ের কাছে শাশুড়ি হিসেবে ততটাই কঠোর,,,
তার মেয়ে রুবি তো বাইরের মানুষকে বদনাম করে বেড়াতো,,,, শিশিরের নামে,,,,
যারা শিশির কে চেনে তারা জানে শিশির কতটা ভালো আর ভদ্র একটা মেয়ে,,,,,
শিশির ভালো থাকাটা তার স্বামীকে নিয়ে,,,,
স্বামীর জন্য সে সবটা সহ্য করে নিতো,,,,,
বিয়ের তিনবছরে রায়ান প্রতিবছর ছয়মাস পর পর দেশে আসে ,,,ওর চাকরির প্রমোশন হয়েছে,,,,ও অনেক জায়গা সম্পত্তি ও কিনেছে,,,, কিন্তু একটা বাচ্চা হলো না,,,,,,, যতই ভালোবাসা থাকুক একটা বাচ্চার শূন্যতা দুজনে অনুভব করতো,,,,,,
অনেক চিকিৎসা করে তবুও বাচ্চা হচ্ছে না,,ওর শাশুড়ি আর রুবি চারদিকে বলতো “বউয়ের বাচ্চা কি করে হবে,ও চুল খোলা রেখে রেখে বাইরে বাইরে ঘুরে জ্বীনে পাইছে ওকে মেয়ে মানুষ এত ঘুরা ঘুরি করা ভালো না” আর ও অনেক কথা বলতে থাকে,,,,,,,,পরে অনেক কষ্টে শিশির কনসিভ করে,,,,,রেহেনা ওকে ঘরের থেকে কোথাও যেতে দেয় না বাবার বাড়িতে ও না,,,,ওর বাচ্চা হয়,,, রায়ান আর শিশির যেন আকাশের চাঁদ পাই ,,, রেহেনা ও খুশি হয়,,,,নাতি হয়েছে,,,, নাতিকে ভালোবাসতো,,,তবে শিশিরকে না,,,,,
বড় করে নাম করণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে,,,রায়ান
শিশিরের বাচ্চা হওয়ার পর রায়ান যেন,,, শিশির ছাড়া কিছুই বুঝতোনা,,,,তাই শিশিরকে তার শাশুড়ি আরো বেশি অত্যাচার করতে থাকে,,,,
রায়ান যখন দেশের বাইরে যায় শিশিরকে তারা ঘরে আটকে রাখতো কাজ করাতো,,,,
আর বাইরের মানুষকে শিশিরের নামে নিন্দা করতো সারাক্ষণ,,,, ও অনেক খারাপ ,, কোনো কাজ করেনা সারাদিন রুমে বসে থাকে ,,,, বাপের বাড়িতে নাকি জিনিস পত্র দিয়ে দেয় তাই বাপের বাড়ি যেতে দেয় না,,,,এমনটা বলে রুবি
আর রায়ান আর নিতে পারছেনা মা – বউয়ের ঝামেলা,,,,,একসময় তার মন ও বদলে যায়,,,,,
পরের পর্বের জন্য রিভিউ দিন





















বিরাম চিহ্নের বিরামহীন ব্যবহার সাহিত্যের গুণগত মান নষ্ট করে দিয়েছে। দৃষ্টিকটু হবার পাশাপাশি চোখেরুপর চাপ পড়ে।ছেলেমানুষী।