Filmmaking – 04

৩০. অভিনয়ের নির্দেশনা পরিচালনা

অভিনেতাদের প্রস্তুতি

  • শুটিংয়ের আগে অভিনেতারা স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ করেন, চরিত্র নিয়ে ভাবেন, কখনো ওয়ার্কশপ বা রিহার্সালে অংশ নেন।
  • সেটে আসার আগে মেকআপ, পোশাক, প্রপস ইত্যাদি ঠিক করে নিতে হয়।

অভিনয় নির্দেশনা (Directing Actors)

  • পরিচালক বা সহকারী পরিচালক দৃশ্যের প্রেক্ষাপট, চরিত্রের মানসিক অবস্থা ও প্রয়োজনীয় আবেগ অভিনেতাদের বোঝান।
  • কখনো কোনো দৃশ্য নিয়ে বেশি রিহার্সাল করতে হতে পারে, আবার কখনো নির্মাতারা স্বতঃস্ফূর্ততা বজায় রাখতে কম রিহার্সাল করেন।
  • সংলাপ বলার সময় উচ্চারণ, ভয়েস মড্যুলেশন, দেহভঙ্গি—সব কিছুই পরিচালক লক্ষ রাখেন।

রিহার্সাল ব্লকিং (Blocking)

  • শুটিংয়ের আগে রিহার্সালে চরিত্রের অবস্থান, মুভমেন্ট, দৃষ্টিকোণ (Eyeline) ইত্যাদি নির্ধারণ করে নেওয়া হয়।
  • ক্যামেরার কোন অ্যাঙ্গেল থেকে দৃশ্য ধারণ করা হবে, সেটা নিশ্চিত করে অভিনেতাদের সাথে মেলানো হয়।
  • ব্লকিং ঠিকমতো না জানলে শুটিংয়ে সময় ও পরিশ্রম অপচয় হয়।

৩১. ডায়লগ রেকর্ডিং সাউন্ড ক্যাপচার

লাইভ সাউন্ড রেকর্ডিং

  • সাধারণত দৃশ্য ধারণের সময়ই বুম মাইক্রোফোন বা ল্যাভালিয়ার (Lavalier) মাইক্রোফোন ব্যবহার করে সংলাপ রেকর্ড করা হয়।
  • আশেপাশে যদি অতিরিক্ত শব্দ বা ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজ থাকে, সাউন্ড টেকনিশিয়ান তা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন (যেমন – ডিম্বাকৃতি রিফ্লেক্টর, দিক নির্ধারিত মাইক্রোফোন ইত্যাদি)।
  • লাইভ সাউন্ড যত ভালোভাবে রেকর্ড করা যায়, পোস্ট-প্রোডাকশনে সম্পাদনার ঝামেলা তত কমে।

ADR (Automated Dialog Replacement)

  • কোনো কারণে লাইভ সাউন্ডে উচ্চমান বজায় রাখা সম্ভব না হলে (যেমন অপ্রত্যাশিত শব্দ, মাইক সমস্যা) পরবর্তীতে স্টুডিওতে ডাবিং বা ADR করে ডায়লগ পুনরায় রেকর্ড করা হয়।
  • অভিনেতারা বড় পর্দায় নিজেদের দৃশ্য দেখে সেই অনুযায়ী সংলাপ মিলিয়ে বলেন।
  • সঠিক লিপ-সিঙ্ক (Lip-sync) বজায় রাখতে কিছুটা অনুশীলন প্রয়োজন।

অ্যাম্বিয়েন্ট সাউন্ড ফোলে আর্ট

  • শুটিংয়ের সময় লোকেশনের স্বাভাবিক পরিবেশের শব্দ (Room Tone/Ambient Sound) রেকর্ড করা হয়, যাতে পোস্ট-প্রোডাকশনে দৃশ্যের পটভূমিতে প্রাকৃতিক আবহ দেওয়া যায়।
  • ফোলে আর্টের জন্য অনেক সময় আলাদা সেট-আপে দরজার কটিকট শব্দ, কাপড়ের ঘর্ষণ, পদশব্দ, হাতাহাতির আওয়াজ ইত্যাদি নতুন করে রেকর্ড করা হয়।

৩২. ভিএফএক্স স্পেশাল এফেক্টস ব্যবহারের কৌশল

প্র্যাকটিক্যাল এফেক্টস (Practical Effects)

  • শারীরিকভাবে বাস্তবে যে ইফেক্ট তৈরি করা যায় তা-ই প্র্যাকটিক্যাল এফেক্ট (যেমন ধোঁয়া, আগুন, বিস্ফোরণ, রক্তের ছিটা, প্রস্থেটিক মেকআপ ইত্যাদি)।
  • বাস্তব নির্মাণ বেশি বিশ্বাসযোগ্য অনুভূতি দেয়, কিন্তু নিরাপত্তার বিষয়টি কঠোরভাবে মেনে চলতে হয়।

গ্রিন স্ক্রিন সিজিআই (CGI)

  • ভবিষ্যৎ দৃশ্য বা কাল্পনিক পরিবেশ দেখাতে, বিপদজনক অ্যাকশন সিকোয়েন্সের জন্য অনেক সময় গ্রিন স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়।
  • পরে পোস্ট-প্রোডাকশনে কম্পিউটার গ্রাফিক্সের (CGI) মাধ্যমে পটভূমি বা অ্যাডিশনাল এলিমেন্ট যোগ করা হয়।
  • ফ্যান্টাসি, সায়েন্স ফিকশন, সুপারহিরো ফিল্ম—এসব ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে গ্রিন স্ক্রিন ও সিজিআই-র ব্যবহার দেখা যায়।

মার্কার রেফারেন্স ব্যবহার

  • শুটিংয়ের সময় দৃশ্যের মধ্যে বিশেষ মার্কার বা রেফারেন্স বসিয়ে রাখা হয় যাতে পোস্ট-প্রোডাকশনে সিজিআই যুক্ত করা সহজ হয়।
  • অভিনেতাকে তখন কল্পনা করে অভিনয় করতে হয় যে তাদের সামনে কোনো দানব বা স্পেসশিপ আছে, যদিও বাস্তবে কিছু নেই।

উপসংহার

এই পর্বের সারমর্ম

  • প্রোডাকশনে আসলেই ছবির প্রাণ সঞ্চারিত হয়। পূর্বপ্রস্তুতি অনুযায়ী সেটে পরিচালক ও কলাকুশলীরা একসঙ্গে কাজ করে চিত্রনাট্যকে বাস্তবে রূপ দেন।
  • অভিনয় নির্দেশনা, ক্যামেরা ও লাইটের সঠিক ব্যবহার, সাউন্ড রেকর্ডিং, নিরাপত্তা বিধান—সব দিক সামলে একজন নির্মাতা ও তার টিম এগিয়ে যান কাঙ্ক্ষিত ফলের দিকে।
  • ভিএফএক্স ও স্পেশাল এফেক্টস ব্যবহারের সিদ্ধান্তগুলোও অনেকটা শুটিং সময় নির্দিষ্ট হয়, যাতে পরে পোস্ট-প্রোডাকশনে বাড়তি সমস্যা না হয়।

৩৩. সম্পাদনার ভূমিকা গুরুত্ব

সম্পাদনার সংজ্ঞা

  • শুটিংয়ের সময় ধারণ করা নানান শট ও দৃশ্যকে সঠিক ক্রমে সাজিয়ে গল্পকে চূড়ান্ত আকার দেওয়ার প্রক্রিয়াই চলচ্চিত্র সম্পাদনা।
  • নির্মাতার দৃষ্টিভঙ্গি ও গল্পের প্রয়োজন অনুযায়ী ছাঁটাই, সংযোজন ও পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে দর্শকের কাছে সিনেমাটির রূপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

সম্পাদনার গুরুত্ব

  1. গল্পের গতি (Pacing): সঠিক সময়ে কাট ও দৃশ্যান্তর সিনেমার গতি ও প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে। খুব ধীরগতি হলে দর্শক ক্লান্ত হতে পারে, আবার খুব দ্রুত কাটে গল্পের আবেগ ঠিকমতো প্রকাশ পায় না।
  2. নিরবচ্ছিন্নতা (Continuity): বিভিন্ন দৃশ্যকে সাবলীলভাবে সংযুক্ত করে নিরবচ্ছিন্ন গল্প-প্রবাহ বজায় রাখতে হয়।
  3. আবেগ জাগানো: সঠিকভাবে দৃশ্য পরপর সাজিয়ে চরিত্রের আবেগ ও দ্বন্দ্বকে জোরালোভাবে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব।
  4. তথ্য নিয়ন্ত্রণ: গল্পের কোন অংশ কখন প্রকাশ পাবে, দর্শককে কীভাবে রহস্য ও উত্তেজনা দেওয়া হবে—এইসব সূক্ষ্ম বিষয় সম্পাদনার উপর নির্ভরশীল।

৩৪. ফিল্ম এডিটিং সফটওয়্যার

পোস্ট-প্রোডাকশনে প্রচলিত কিছু জনপ্রিয় সফটওয়্যার ও তাদের বৈশিষ্ট্য:

  1. Adobe Premiere Pro
    1. বহুল ব্যবহৃত ও বহুমুখী ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।
    1. সিনেমা, টিভি অনুষ্ঠান, ইউটিউব কনটেন্ট ইত্যাদির জন্য উপযোগী।
    1. After Effects, Photoshop-এর মতো অন্যান্য অ্যাডোবি অ্যাপের সঙ্গে সহজেই ইন্টিগ্রেট করা যায়।
  2. DaVinci Resolve
    1. মূলত কালার কারেকশন ও কালার গ্রেডিংয়ের জন্য বিখ্যাত, তবে সম্পূর্ণ এডিটিং ও পোস্ট-প্রোডাকশন স্যুট হিসেবেও কাজ করে।
    1. বিনামূল্যে (Free) এবং পেইড (Studio) দুটি সংস্করণ পাওয়া যায়।
    1. ভিএফএক্স ও সাউন্ড ডিজাইনের জন্যও বিল্ট-ইন টুলস আছে।
  3. Final Cut Pro (Apple)
    1. ম্যাক ব্যবহারকারীদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়।
    1. সহজ ইন্টারফেস এবং দ্রুত রেন্ডারিং পারফরম্যান্সের জন্য প্রশংসিত।
    1. বড় পর্দার ফিচার ফিল্ম থেকে শুরু করে ছোটখাট ভিডিও প্রোজেক্ট—সবকিছুই এডিট করা যায়।
  4. Avid Media Composer
    1. পেশাদার ফিল্ম ও টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহৃত একটি প্রতিষ্ঠিত নাম।
    1. বড় প্রজেক্ট হ্যান্ডেল করার সক্ষমতা থাকায় অনেক প্রফেশনাল স্টুডিওতে ব্যবহৃত হয়।

বেশি গুরুত্বপূর্ণ কী?

  • কোনো সফটওয়্যারই এককভাবে “সেরা” নয়; আপনার প্রোজেক্টের ধরন, বাজেট, কর্মপ্রবাহ এবং ব্যক্তিগত স্বাচ্ছন্দ্যের ওপর নির্ভর করে সফটওয়্যার নির্বাচন করা উচিত।

৩৫. কাটিং ট্রানজিশনের ধরন

কাটিং (Cutting)

  • দুটি শটকে একসঙ্গে সংযুক্ত করার সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি হল “কাট।”
  • নির্দিষ্ট দৃশ্যের আবেগ, গতি ও গল্পের প্রয়োজন বুঝে কোথায় ও কখন কাট দেওয়া হবে—এটাই এডিটরের প্রধান দক্ষতা।

কাটিংয়ের ধরন

  1. স্ট্রেইট কাট (Straight Cut): সবচেয়ে সাধারণ ও প্রচলিত পদ্ধতি; কোনো অতিরিক্ত ট্রানজিশন ছাড়াই সরাসরি পরবর্তী শটে যাওয়া।
  2. (L-Cut) জেকাট (J-Cut): সংলাপ বা সাউন্ড এক শট থেকে আগেই বা পরে ক্রস করে পরের শটে সংযুক্ত হয়। গল্পের ফ্লো ও আবেগ মসৃণ রাখতে কার্যকর।
  3. জাম্প কাট (Jump Cut): একই দৃশ্যের মধ্যেই হঠাৎ সময় বা অ্যাকশনে লাফ দেওয়া। উদাহরণ: কোনো চরিত্রের ভাবনার ভেতর দিয়েও জাম্প কাট দেখানো যায়।
  4. ম্যাচ কাট (Match Cut): শটের বিষয় বা মুভমেন্ট এক শট থেকে অন্য শটে নির্বিঘ্নে মিলিয়ে দেওয়া হয়, যাতে ভিজ্যুয়াল ও কনটেক্সট বজায় থাকে।

ট্রানজিশন (Transition)

  1. ফেড ইন/ফেড আউট (Fade In/Out): সাধারণত দৃশ্যের শুরু বা শেষে ধীরে ধীরে উজ্জ্বল বা অন্ধকার হওয়া।
  2. ডিজলভ (Dissolve): এক শটের ইমেজ ধীরে ধীরে আরেক শটের সঙ্গে মিশে যায়। সময়ের পরিবর্তন বা স্মৃতি ইত্যাদি বোঝাতে ব্যবহার হয়।
  3. ওয়াইপ (Wipe): এক শটকে ধীরে ধীরে আরেক শটের ওপর দিয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়। কিছুটা “স্টাইলাইজড” ফিল দেয়।

৩৬. কালার গ্রেডিং কালার কারেকশন

কালার কারেকশন (Color Correction)

  • শুটিংয়ের সময় আলো, ক্যামেরা সেটিংস বা লোকেশন ভেদে ভিডিওর রঙ ও উজ্জ্বলতায় পার্থক্য দেখা যেতে পারে।
  • কালার কারেকশনের মাধ্যমে প্রতিটি শটকে গল্পের প্রয়োজনমতো স্বাভাবিক বা মানানসই রঙেরCloser একটি মানে আনা হয়, যাতে টোনে সামঞ্জস্য বজায় থাকে।

কালার গ্রেডিং (Color Grading)

  • গল্পের মুড, আবেগ বা পরিবেশ ফুটিয়ে তুলতে ইচ্ছাকৃতভাবে রঙ ও কনট্রাস্টে পরিবর্তন আনা হয়।
  • রোমান্টিক দৃশ্যে উষ্ণ ও উজ্জ্বল টোন ব্যবহার করা হতে পারে, আবার থ্রিলার দৃশ্যে নীলচে বা সবুজাভ ঠান্ডা টোন দেয়া যেতে পারে।
  • সিনেমাটোগ্রাফি থেকে শুরু করে চূড়ান্ত আউটপুট পর্যন্ত “ভিজ্যুয়াল লুক” নির্ধারণ করতে কালার গ্রেডিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

টুলস প্লাগইন

  • DaVinci Resolve কালার গ্রেডিং-এর জন্য বিখ্যাত। Premiere Pro ও Final Cut Pro-তেও লুমেট্রি কালার/কালার বোর্ড ব্যবহার করে গ্রেডিং করা যায়।
  • অনেক সময় বিশেষ থার্ড-পার্টি প্লাগইন (যেমন FilmConvert, Magic Bullet Looks ইত্যাদি) ব্যবহার করে ফিল্ম লুক বা নির্দিষ্ট স্টাইল যুক্ত করা হয়।

৩৭. ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর আবহসংগীত

ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর (Background Score)

  • দৃশ্যের আবেগ ও ছন্দ বাড়াতে পেছনে বাজে ইনস্ট্রুমেন্টাল সুর বা মিউজিক।
  • চরিত্রের মানসিক অবস্থা, দৃশ্যের টেনশন, রোমান্স, বা অ্যাকশনকে আরও উজ্জীবিত করে তোলে।

আবহসংগীত (Ambient Music/Soundscape)

  • কখনো নির্দিষ্ট বাদ্যযন্ত্রের বদলে পরিবেশের সাথে মানানসই সাউন্ডস্কেপ বা আবহসংগীত ব্যবহৃত হয়, যা সুর ও শব্দের মিশ্রণে তৈরি হতে পারে।
  • উদাহরণ: হরর দৃশ্যে ফিসফিসে বাতাসের শব্দ, ধ্রুপদী সুর ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় আতঙ্ক বা রহস্যের পরিবেশ নির্মাণে।

সংগীত নির্বাচন

  • কিছু নির্মাতা স্বতন্ত্র কম্পোজারের কাছে সুর তৈরি করান; আবার কেউ রেডি-মেড লাইব্রেরি থেকে সংগ্রহ করেন (যেমন Artlist, Epidemic Sound ইত্যাদি)।
  • গল্পের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক সুর নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভুল বা বেমানান সুর দর্শকের অনুভূতিকে বিভ্রান্ত করতে পারে।

৩৮. ডাবিং সাউন্ড ডিজাইন

ডাবিং (Dubbing) বা ADR

  • শুটিংয়ের সময় যদি সংলাপ যথেষ্ট পরিষ্কারভাবে রেকর্ড করা না যায়, বা উচ্চারণ/ভাষায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন পড়ে, তখন স্টুডিওতে ডাবিং করা হয়।
  • অভিনেতারা দৃশ্য দেখে দেখে সিনক্রোনাইজ করে সংলাপ বলেন, যাকে ADR (Automated Dialogue Replacement) বলে।

সাউন্ড ডিজাইন

  • সংলাপ, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর, অ্যাম্বিয়েন্ট সাউন্ড ছাড়া ফোলে আর্ট (Foley) ও স্পেশাল সাউন্ড এফেক্ট যোগ করে একটি দৃশ্যকে বাস্তবসম্মত বা নাটকীয় করা হয়।
  • দরজার কটিকট শব্দ, পায়ের আওয়াজ, বাতাস, বৃষ্টির ঝাপটা—সবকিছুই আলাদাভাবে রেকর্ড ও মিক্স করে দৃশ্যে যুক্ত করা হয়।
  • সাউন্ড ডিজাইনার দৃশ্যের আবেগ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী শব্দের তীব্রতা, টাইমিং ও ব্যালান্স ঠিক করেন।

৩৯. সাবটাইটেল ভিজ্যুয়াল এফেক্ট সংযোজন

সাবটাইটেল (Subtitle) বা Closed Captions

  • আন্তর্জাতিক বা ভিন্ন ভাষাভাষী দর্শকের জন্য সাবটাইটেল যোগ করা জরুরি হতে পারে।
  • বর্তমান ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে (Netflix, Amazon Prime ইত্যাদি) সাবটাইটেল ও ক্লোজড ক্যাপশন ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক পর্যায়ে চলে গেছে।
  • সঠিক বানান, টাইম কোড ও সংক্ষেপিত সংলাপের মাধ্যমে সাবটাইটেল লেখা হয়, যাতে দর্শক সহজে পড়তে পারে।

ভিজ্যুয়াল এফেক্ট সংযোজন (VFX Integration)

  • শুটিংয়ের সময় গ্রিন স্ক্রিন বা ব্লু স্ক্রিন ব্যবহার করে যা ধারণ করা হয়েছিল, সেটির জায়গায় প্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড বা সিজিআই এলিমেন্ট যুক্ত করা হয়।
  • সায়েন্স ফিকশন, অ্যাকশন, সুপারহিরো মুভিতে পোস্ট-প্রোডাকশনে ব্যাপক CGI ব্যবহার হয়।
  • 2D বা 3D অ্যানিমেশন, ডিজিটাল ম্যাট পেইন্টিং, মোশন ট্র্যাকিং ইত্যাদি করে বাস্তবে অসম্ভব দৃশ্যও পর্দায় জীবন্ত হয়ে ওঠে।
  • পোস্ট-প্রোডাকশনে শুটিংয়ের সময় ধারণ করা দৃশ্যগুলিকে সংগঠিত ও সাজিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সিনেমায় রূপ দেওয়া হয়।
  • এডিটিং, কালার গ্রেডিং, সাউন্ড ডিজাইন, আবহসংগীত—প্রত্যেকটি স্তরেই নিখুঁতভাবে কাজ করতে হয়, কারণ এ পর্যায়েই গল্পকে তার চূড়ান্ত আকার দেওয়া সম্ভব হয়।
  • ভিএফএক্স বা গ্রাফিক্স দরকার হলে এই সময়েই যুক্ত করা হয়, সাবটাইটেল যোগ করা হয় এবং সবকিছু সমন্বয় করে চূড়ান্ত আউটপুট তৈরি করা হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top